1. admin@ichchashakti.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

দণ্ডিত ভালোবাসার সমাধি — জাকির আলম

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২০ বার পঠিত

দণ্ডিত ভালোবাসার সমাধি

জাকির আলম

 

তারপর পথে-প্রান্তরে বহুবার তোমার সাথে আমার দেখা হয়েছে। কখনো কথা বলার ফুরসত পাইনি। নীরবেই চলে গেছি একনজর তোমাকে দেখে। এখনো খুব কষ্ট হয় তোমাকে যখন অন্য পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে দেখি। হিজাবের আড়ালে তোমার চোখের চাহনি সতত আমার মনে শিহরণ জাগিয়ে তোলে। দেখতে দেখতে অনেক বছর হয়ে গেলো তুমি আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছো। ইতোমধ্যে তুমি কন্যা সন্তানের মা হয়েছো। সুখে-দুঃখে একটা জীবন তোমার সাথে কাটানোর প্রবল ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু সেই স্বপ্ন আমার কোনোদিন পূরণ হবে না। তৃষ্ণার্ত মনে বুকে জড়িয়ে নয়ন ভরে আর কখনো দেখতে পাবো না তোমাকে। বুকের ভিতর হাজারো কথা জমা হয়ে আছে। কিন্তু কখনো আর বলার সুযোগ হবে না। তুমি যেদিন আমাকে পশ্চাতে ফেলে অন্য পুরুষে আসক্ত হয়েছো সেদিন থেকে ভালো নেই আমি। একটুও ভালো নেই।

 

শরীরের ভিতর চাপা আর্তনাদে ছটফট করতে থাকি নিঃসঙ্গ রাতের অন্ধকারে নিজেকে লুকিয়ে।কখনো ভাবিনি আমাকে ছেড়ে তুমি চলে যাবে। তোমার সাথে কাটানো আনন্দঘন সময়গুলো এখনো হাতছানি দেয় চেতনার অগোচরে। তোমার সেই ভাসা ভাসা চোখের নীরব দৃষ্টি ভাবনার গভীরে আমাকে প্রতিনিয়ত বিদ্ধ করে। হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েও তোমার সাথে আমার অনন্তকাল থাকা হলো না। তুমি ছেড়ে যাওয়াতে থেমে গেছে আমার চলমান গতিবিধি। বাঁচার ইচ্ছেটাও অনেক আগেই মরে গেছে। আত্মহত্যা মহাপাপ না হলে অনেক আগেই চলে যেতাম না ফেরার দেশে। প্রিয় মানুষ জীবন থেকে চলে গেলে যে কতোটা কষ্ট হয় তোমাকে তা বোঝাতে পারবো না। স্বামী সন্তান নিয়ে তুমি হয়তো অনেক সুখে আছো। সুখে আছো বলেই একটিবার আমার দ্বারস্থ হলে না। বললে না আমাকে ছেড়ে তুমিও ভালো নেই। এখনো তোমাকে কাছে পেতে অপেক্ষায় থাকি আমি। মরে যাওয়ার আগে যদি একটি দিন তোমার সাথে কাটাতে পারতাম তাহলে বুকের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারতাম।

 

জানিনা এই গল্পটি কোনোদিন তোমার কাছে পৌঁছে যাবে কিনা। যদি কখনো তোমার আমার এই গল্পটি তুমি দেখতে পাও তাহলে ভুল করে হলেও একটি বারের জন্য আমাকে সাড়া দিও। তোমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতে না পারায় মনের কষ্ট বহুগুণে বেড়ে গেছে। তুমি হয়তো ভেবেছো তোমাকে ভুলে নতুন কাউকে নিয়ে আমি সংসার পেতেছি। সত্যি বলতে সেটা আমি পারিনি। কখনো পারবোও না হয়তো। তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা অনেক বেশি কষ্টের, অনেক বেশি যন্ত্রণার। প্রতি রাতে তোমাকে হারানোর শোকে ভীষণ কষ্টে আর্তনাদ করি আমি। তোমাকে হারিয়ে আমার জীবনে দ্বিতীয় কারো আগমন ঘটতে দেইনি। চাইলে আমিও পারতাম কাউকে বিয়ে করে সংসারী হতে। মনের দিক থেকে সুখী হতে পারবো না বিধায় কাউকে আমি ঠকাতে চাইনি। মিথ্যে অভিমানে আমাকে তুমি ত্যাগ করেছো। প্রকারন্তরে আমিও পারতাম নতুন কারো সাথে নিজেকে জড়াতে। অথচ সেটা আমি পারিনি। তুমি ভেবেছিলে তোমাকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে অন্য কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছি আমি। কিন্তু তোমার এই ভাবনা ছিলো ভিত্তিহীন। যা আমাকে প্রবল ভাবে ঠকিয়ে দিয়েছে। তারপর থেকে কোনো একটি দিন তোমাকে ছাড়া ভালো থাকতে পারিনি আমি।

 

এখনো তোমার বাড়ির পাশ দিয়ে কোথাও গেলে প্রচণ্ড মনে পড়ে তোমাকে। মনে পড়ে যেখানে তোমার সাথে আমার অভিসারে দেখা হতো সেই জায়গাটি দেখে। সবকিছু সেই আগের মতোই আছে। নেই শুধু তুমি। তুমি হারিয়ে গেছো আমার বৃত্তের বাইরে। হাত বাড়ালেও তোমাকে আর খুঁজে পাই না। মাঝেমাঝে তুমি শহর থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে এলেও একনজর তোমাকে দেখতে যেতে পারিনা। তোমাকে মন ভরে দেখার অধিকারটাও হারিয়ে ফেলেছি। কিছুই অবশিষ্ট রেখে যাওনি আমার জীবনে। সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে গেছো আমার আমিত্ব থেকে। আমার কাছে রেখে যাওয়া তোমার দু’টি চিঠি খুব যতনে রেখে দিয়েছি মনের বাক্সের অন্দরমহলে। চাইলে সেগুলোও নিয়ে যেতে পারো। ফিরিয়ে দিতে সদা প্রস্তুত আমি। তাই বলে তোমাকে আমি ভুলে যেতে পারবো না। পারবো না তুমিহীন দ্বিতীয় কাউকে মন থেকে ভালোবাসতে। সেই ভালোবাসা আমার কাছে আর অবশিষ্ট নেই। যা ছিলো সবটুকু তোমাকে দিয়ে দিয়েছি। এখন তুমি চাইলেই পারো বারংবার আমাকে ঠকাতে। তুমি ছিলে আমার সখের নারী। যাকে ভালোবাসতে বাসতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলাম। যেই তোমাকে একদিন না দেখলে, ফোনে কথা না হলে থাকতে পারতাম না সেই তুমি আজ বড় অচেনা।

 

একটা সময় মন চাইলেই তোমাকে দেখতে পেতাম। কথা বলতে পারতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কখনো বা তোমাকে বুকে জড়িয়ে মিশে যেতাম গভীর ভালোবাসার মাঝে। এখনো তোমার সেই সমবেদী ঠোঁটের চুমুগুলোর চুঁ চুঁ শব্দ সহসাই টের পাই স্মৃতির ক্যানভাসে। তুমি নেই তবুও তোমার অস্তিত্ব টের পাই মনের অগোচরে। তুমিই ছিলে আমার একমাত্র ভালোবাসার মানুষ, যার কাছে নিজের সব গোপন কথাগুলো খুচরো পয়সার মতে মন খুলে বলতে পারতাম। যে রাতগুলো তোমার সাথে ফোনে এবং মেসেজে কথা বলতে বলতে কেটে গেছে সে রাতের ভালোলাগা জিইয়ে রেখেছি মনের চাতালে। তুমি হয়তো ভুলে গেছো অতীতের সব স্মৃতি। কখনো আমার বিশ্বাস হয়নি আমাকে ভুলে অন্য কারো সাথে তুমি ঘর বাঁধতে পারবে। এভাবে যদি ভুলেই যাবে তাহলে কেন এসেছিলে আমার জীবনে ? তোমাকে তো আমি জোর করে ভালোবাসতে বলিনি। আমাকে ধোঁকা দিয়ে তুমি অনেক সুখী হয়েছো তাই না জান ? বিশ্বাস করো তোমাকে আমি মন থেকে ভালোবেসে ছিলাম। অথচ তুমি সেটা কখনো আন্দাজ করোনি। তোমাকে বিয়ে করে আমিও একটি ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলাম। চেয়েছিলাম তোমার হাত ধরে সহস্র জনম বাঁচতে।

 

তোমার ব্যক্তিত্ব দেখে আমি তোমার প্রেমে পড়েছিলাম। সবকিছু মিথ্যা প্রমাণ করে আমাকে তুমি তুমুল ভাবে ঠকিয়ে দিয়েছো। আঘাত করেছো আত্মার ভিতর। আমার চোখে বিষাদের অশ্রু ঝরাতে তোমার কোনো কষ্ট হয়নি। কখনো ভেবে দেখোনি তোমাকে হারালে কতোটা কষ্ট হবে আমার ! এক জীবনে এতোটা কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকা ভীষণ কঠিন। তবুও বেঁচে আছি পুনর্বার তোমাকে কাছে পাওয়ার প্রগাঢ় বিশ্বাসে। মনকে বোঝাতে পারিনা তুমি আর কোনোদিন আমার হবে না। কখনো চুপিসারে এসে বলবেও না এই আমি তোমারই আছি। কষ্ট পেওনা জান আমাকে হারাতে কোনো ভয় নেই তোমার। চিরদিন আমি তোমার। এমন কতো শত ভাবনায় বিভোর থাকি আমি। তোমাকে ভালোবেসে ভুল করেছিলাম কিনা জানিনা। তবে তোমাকে ভালোবেসে বুঝতে পেরেছি মিথ্যে ভালোবাসার আঘাত কতোটা যন্ত্রণা মুখর হতে পারে। এই আঘাত কাউকে দেখানো যায় না। বলাও যায় না কাউকে মন খুলে। কারো সাথে কথা বলার ইচ্ছেটাও মরে গেছে। এখন শুধু মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন যাপন করি। এখন আমার কোনো অস্তিত্ব নেই। নেই বেঁচে থাকার সাধ। মনের কষ্টের সাথে যুদ্ধ করে কোনো রকম বেঁচে আছি। এটাকে বাঁচা বলে না। এমন বেঁচে থাকায় আমার কোনো ইচ্ছেও নেই।

 

এমন জীবন্মৃত বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াটা অনেক ভালো। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ আমি ভীষণ ক্লান্ত। চোখের দৃষ্টি শক্তিও কমে গেছে। চারপাশ থেকে অগণিত কষ্টের জাল অক্টোপাসের মতো আমাকে জড়িয়ে রেখেছে। এখনো আকাশে চাঁদ ওঠে। জোছনা এসে আলিঙ্গন করে আমার ঝুলবারান্দায়। তাতে আমার কোনো ভ্রক্ষেপ নেই। সমস্ত অনুভূতি জুড়ে এখন শুধু অন্ধকার।আলোর মাঝেও ঘুটঘুটে অন্ধকার দেখি আমি। ভালোলাগা এবং ভালোবাসার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে। কেউ আঘাত দিলেও আর কষ্ট পাই না। সব কষ্ট সয়ে গেছে শরীরে। এখন আমি স্পাতের থেকেও বেশি কঠিন। মাথার উপর হাতুড়ি পিটালেও কোনো কষ্ট অনুভূত হয় না। এতো সব কষ্টের মাঝেও তোমাকে আমি দোষী সাব্যস্ত করবো না। সব আমার নিয়তির লিখন। তোমাকে কখনো কোনো কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিও নিজ গুণে। সর্বোপরি তোমাকে আমি মন থেকে ভালোবেসে ছিলাম। পরিস্থিতির চাপে হয়তো  আমাকে তুমি ছেড়ে দিয়েছিলে। নয়তো স্বার্থের কাছে হেরে গিয়ে আমাকে ত্যাগ করেছো। সত্য যেটাই হোক আমি মেনে নিয়েছি। ভালোবাসার মানুষের সাথে সবাই ঘর বাঁধতে পারে না। আমিও হয়তো পারিনি সেই সূত্র ধরে। তাই সবকিছু মেনে নিয়ে ছেড়ে দিলাম তোমাকে।যেখানে থাকো যে অবস্থায় সর্বক্ষণ সুখে থেকো তুমি। তোমার প্রতি আমার কোনো প্রতিহিংসা নেই। তুমি আমার এমন একজন ভালোবাসার মানুষ, যাকে দূর থেকেও ভালোবাসা যায়। যাকে ভালোবেসে নিজেকে পরিপূর্ণ মনে হয়। তোমার স্পর্শ মাখা শরীরটা কারো কাছে সোপর্দ করিনি। কাউকে দেইনি ভালোবাসার অধিকার। একজীবনে তোমার থেকে যা পেয়েছি নেহাতই কম নয় তা। যা চেয়েছি তার থেকেও বেশি পেয়েছি তোমার থেকে।

 

আপাদমস্তক তুমি একজন আদর্শ প্রেমিকার স্বরূপ। মনের আড়াল থেকে অথবা মুখোমুখি যতবার তোমাকে দেখেছি ততবার মুগ্ধতায় ডুবে গেছি।তোমাকে ছুঁলেই অবনত শরীরে মোমের মতো গলে যেতে। তোমার আদর সোহাগ পেলে আমিও প্রগাঢ় অনুভূতির মাঝে মিশে যেতাম। জানিনা সেসব তোমার মনে আছে কিনা। মনে না থাকলে স্মৃতির জগৎ থেকে চোখ বুঁজে একবার ঘুরে এসো। হয়তো পেয়ে যাবে নান্দনিক সুখের বুনন। নয়তো আমার হাত ধরে ফিরে যেতে মন চাবে অতীতের সেই বাহুডোরে। সেখানে ইচ্ছে হবে অনন্তকাল থেকে যেতে। এখনো তুমি চাইলে স্বপ্নের জগতে আবার পা বাড়াবো। তোমার হাত ধরে হেঁটে যাবো গতিশীল অভিমুখে। যেখানে ইচ্ছে হবে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভালোবাসার গল্প করতে। জীবন বড়ই বিচিত্র। মাঝেমাঝে সেই জগৎ থেকে ফিরে আসতে হয় আমাদের। যা পাই তা ভাগ্যের জোরেই পাই। যা হারাই তা অমঙ্গল ছিলো আমার জন্য। বিধাতা কাউকে ঠকাতে চান না। কেউ হয়তো আপেক্ষিক ঠকে যায়। তবে একটা সময় সেটা ভুল প্রমাণ হয়। বিধাতার পৃথিবীতে একমাত্র তোমাকে ঘিরেই হাজার বছর বেঁচে থাকার সাধ জেগেছিলো। এখনো তার ব্যতিক্রম নেই। সময়ের ব্যবধানে তুমি হয়তো নতুন করে বাঁচার অভিপ্রায় খুঁজে পেয়েছো। বিপরীতে আমি এখনো পড়ে আছি তোমার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। কাছে নেই তবুও মনের দিক থেকে তোমাকে খুব অনুভব করি। প্রতিনিয়ত তোমাকে খুঁজে ফিরি পুরো পৃথিবীর অলিগলিতে। আমার আকাশ জুড়ে শুধুই তোমার প্রতিচ্ছবি আঁকা। যেখানে মনের চোখে তোমাকে দেখি গভীর প্রণয়নের আদলে।

 

যেভাবেই তোমাকে কল্পনা করি সহসাই খুঁজে পাই মনের ব্যালকনিতে। কভুও তোমাকে সরাতে পারিনা হৃদয়ের অনুভব থেকে। তোমাতেই পরিপূর্ণ আমি। তোমাতেই খুঁজে পাই আমার সমস্ত ভালো থাকা। তুমি ফিরে এসো মেঘের মতো ভেসে আমার মনের আকাশে। ইচ্ছে মতো লুকোচুরি খেলবো তোমার সাথে। প্রজাপতির মতো উড়ে উড়ে দোল খাবো সবুজ ফসলের মাঠে। কখনো বা ঝিলের জলে ফুটে থাকা শাপলা ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে গুঁজে দিবো তোমার চুলের খোঁপায়। হয়তো সমুদ্র স্নানে যাবো মধু জোছনার প্রাক্কালে। নয়তো নিঝুম রাতের শরীর ঘেঁষে নিভু নিভু জোনাকির আলোয় হেঁটে যাবো সম্মুখে শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের ডগায় নগ্ন পায়ের ছাপ এঁকে। তবুও তোমাকে ছেড়ে যেতে দিবো না আমার জীবন থেকে। এমন কতো শত ভাবনার মাঝে যখন দেখি বাস্তবিক তুমি আমার জীবনে নেই তখন ভাবনার চৈতন্য থেকে ছিটকে পড়ে যাই ভূপৃষ্ঠের অন্দরে।

 

নিজেকে তখন খুব অসহায় লাগে। বুক ফেটে কান্না আসে। কষ্টের আগুনে জ্বলতে থাকে কঙ্কালসার কলেবর। এমন কষ্টের মাঝেও তোমার উপস্থিতি আমি টের পাই না। জানিনা এখনো আমার প্রতি তোমার কোনো টান অনুভব হয় কিনা। না হলেও কোনো দোষ নেই। সব শেষে আমিও চাই তোমার ভালো থাকা। তুমি ভালো থাকলে আমিও শান্তি পাই। জীবনে কেউ কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে তাকে কখনো ভোলা যায় না। যেটা কেউ কখনো পারেনি। তাই হয়তো আমিও পারিনি তোমাকে ভুলে যেতে। পারবোও না হয়তো কোনোদিন কোনো কালে। তোমার কথা ভেবেই বাকি জীবন অতিবাহিত করে দিবো। এর মাঝেই হয়তো একদিন খবর পাবে আমার মৃত্যুর কথা। সেদিন তোমার চোখে এক ফোঁটা অশ্রু ঝরলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না আমি। পারবো না তোমাকে সান্ত্বনা দিয়ে চোখের জল মুছে দিতে। আমার শেষ বিদায়ের দিনে তুমি বরং হাসি মুখে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমাকে কভুও দোষী সাব্যস্ত করো না।

 

দোষী সাব্যস্ত করলে পরকালেও আমি ভালো থাকতে পারবো না। সর্বোপরি হাসি মুখে আমাকে বিদায় জানিও তোমার ভুবন থেকে। চির যাত্রায় যেন আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারি। এই প্রার্থনাটুকু কোরো আমার কষ্ট সহিষ্ণু আত্মার শান্তি কামনায়। আমার বিদায়বেলায় তোমাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকবে না। যা থাকবে তা শুধু অফুরন্ত ভালোবাসা। তুমি মেখে নিও সেই বিদগ্ধ ভালোবাসার উষ্ণতা। আমাকে বিদায় জানিও তোমার ঠোঁটের একবিন্দু ভালোবাসার কোমল মায়ায়। এটাই প্রত্যাশা রইলো তোমার অভিমুখে। গল্পের  মতোই তুমি সুন্দর , নান্দনিক সুন্দর !

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park