অস্থিরতা ভর করেছে সমাজটায়
সস্তি নেই যেন কোথাও,
লক্ষ্য ভ্রষ্ট দুরন্তপনায় ঝুঁকে পড়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম
এ যেন কোন অশুভ প্রেতাত্মার শনির আসর।
এদের পড়তে যাওয়ার কথা, কিন্তু স্কুলে যায় না
এরা বই বিমুখ হয়ে গেছে।
এরা এখন খেলাধুলা করে না, খেলার মাঠে অনীহা এদের
বদ্ধ ঘরের কোণে বন্দি থাকায় পছন্দ এদের,
এরা খোলা আকাশের শীতল বাতাস গায়ে মাখতে অনিচ্ছুক।
একটু রৌদ্রে হাঁটা, বৃষ্টিতে ভেজা কিংবা কাঁদামাটির পরশ এদের ভালো লাগে না।
গাড়ির জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষাতেও বিরুক্তি নেই এদের,
তবুও… দু’কদম হেঁটে যাবে না কোথাও।
অলস ! প্রচন্ড রকম আলস্য ভর করেছে এদের
শ্রদ্ধা সম্মানবোধও অনেকটাই অনুপস্থিত
বড়দের শ্রদ্ধা সম্মান করাও ভুলতে শিখেছে,
পাশে কে ? সামনে পেছনে কে ?
থোড়াই কেয়ার করে এরা !
ন্যুনতম বিনয়ী ভাব, কৃতজ্ঞতাবোধের অপমৃত হয়েছে
উদ্ধত আচরণ, সদম্ভ আচরণে অসহায় বড়রা
এরা কারো উপদেশ মানতে নারাজ, বরং অধিক চড়াও হয় দু’টো ভালো কথা বললে।
এরা দিনে ঘুমায়, আর সারা রাত অনলাইনে ডুবে থাকে,
এরা সূর্যোদয় দেখে না, দেখে না সূর্যাস্ত
সূর্যোদয়ের সময় থাকে ঘুমে, আর সূর্যাস্তে মোবাইলে।
এরা বই পড়ে না, বুঝে না কবিতা গল্প, বুঝে না সাহিত্য।
এরা ভালো মন্দের পার্থক্য নির্ণয়েও ব্যর্থ
দিন রাত ডুবে থাকে মোবাইল গেমে,
এরা নদী কিংবা পুকুরে যায় না
সাঁতার কাটতে জানে না, চেষ্টাও করে না শেখার।
পুকুরের এপার থেকে ওপার সাঁতড়ে যেতে পারে না
সাগর পাড়ি দেওয়ার সাহস তো দুঃস্বপ্ন।
সামনে এগিয়ে যাওয়ার মনোবল নেই এদের,
এরা দু’কোদাল মাটি কাঁটার শক্তি রাখে না
পাহাড় কেটে পথ তৈরি তো অসীম চিন্তা।
এরা উচ্ছ্বাসহীন, আবেগহীন, সাহসহীন..
এদের ক্ষমতা শুধু স্মার্টফোনে স্ক্রল করতে পারা।
এদের না আছে মূল্যবোধ, না আছে শ্রদ্ধাবোধ কিংবা শৃঙ্খলাবোধ..
এদের না আছে সময়-জ্ঞান, না আছে জীবনবোধ কিংবা আত্মসম্মান।
এরা বুঝে না বড়, কিংবা ছোট !
এরা স্মার্টফোনে আসক্ত উন্মাদ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।