প্রিয় মহারাণী!
তোমাকে নিয়ে লেখা আমার একটি নেশা।
আর তার উপর আজ আবার বিশ্ব চিঠি দিবস!
কবুতরের মাধ্যমে পত্র প্রেরণের রীতি বা প্রথার প্রচলন আজ আর নেই। প্রয়োজন ফুরিয়েছে ডাক হরকরার।তাইতো এখন মনের তুলিতে হৃদয়ের ক্যানভাসে তোমার ছবি আঁকি।
লিখি রক্তের কালিতে বুকের পাঁজরে তোমারে একখানা চিঠি। জানিনা,কস্মিনকালেও এ চিঠি তুমি পাবে কি না! না কি বরাবরের মত এবারও তোমার অজানা থেকে যাবে আমার অন্তরের অন্তঃস্থলে লুকায়িত অব্যক্ত বেদনা,অপ্রকাশিত আবেগ-উৎকণ্ঠার কথা,তোমার প্রতি আমার অকৃত্রিম-অকৃপণ সহমর্মিতায় ভরা ভালবাসার কথা।
মহারাণী!
ছোট্ট চিরকুটে তোমাকে লেখা আমার পিপাসার্ত,তৃষ্ণার্ত আত্নার প্রবল আকাঙ্ক্ষার অভিব্যক্তি গুলোর
উত্তরে তোমার রক্ত জবার রঙে রাঙা ঠোঁটের মৃদু অথচ ভুবন বিজয়ী হাসিতে আমি প্রাণ হারিয়েছি যে কতবার তা তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না।
সেটা আদৌ তোমার নিকট আমার গ্রহণীয়তার না কি উপহাসের ছিল তা-ও জানতে পারিনি কভু।
মহারাণী!
অনেক দিনই তো গত হল তুমি আমার দৃষ্টির সীমানা ছেড়েছ!কারো মনে দাগ কাঁটতে হলে হয় তার সুখ নতুবা তার দু:খের কারণ হতে হয়।আমি হয়ত কখনো তোমার সুখের কারণ হতে পারিনি,কিন্ত,দু:খ? সেটাতো কোন জনমে আমি তোমাকে দিয়েছি বলে মনে পড়ে না।
মহারাণী!
এই চিঠি যখন পাবে তখন হয়ত দেখবে আমি আর নেই এই ভুবনে।দমকা ঝড়ো সমীরণে তোমার বুকটা ঠিকই তখন কেঁপে কেঁপে উঠবে। তোমার কাজলাঙ্কিত নয়ন যুগল নি:সৃত অশ্রুতে ভিজে যাবে আমার সমাধির মাটি,নিভে যাবে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখা,থেমে যাবে হয়ত কবরের আজাবও।
আর পরম মমতায় ভালবাসার চাদর বিছিয়ে প্রতীক্ষায় থাকব আমি তোমার আগমণের।
ইতি,
তোমার অপছন্দের অনাহুত-অনাকাঙ্খিত সেই আমি।