ইচ্ছাশক্তি ডেক্সঃ
প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী বই সম্পদনার নামে লেখকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিছে। অপূর্ণ ভালোবাসা, ইচ্ছাপূরণ সাহিত্য সাময়িক ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন এবং চব্বিশের কবিতা এই তিনটি বই প্রকাশ করার কথা থাকলেও তিনি প্রকাশ করেননি। কেবলমাত্র “অপূর্ণ ভালোবাসা” বইটির পিডিএফ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী দুইটি বই এর পাণ্ডুলিপি বা কবিতাংশ এখনো জমা দেয় নাই প্রকাশনীতে। তিনটি বইতে মোট ৭০ জন নবীন ও প্রবীন লেখকদের কাছ থেকে কবিতা সংগ্রহ এবং টাকা উত্তোলন করেছে। দুটি কবিতা এবং একটা বক্স ক্রেস্টের বিনিময়ে ৭০০ টাকা করে, আর এর চেয়ে বেশি কবিতা দিলে প্রতিটা কবিতা ২৫০ টাকা করে হিসাব করে, মোট ৩টি বইতে অসংখ্য কবিতা ও টাকা জমা নিয়েছে। নিদিষ্ট একটা তারিখ দিয়ে সবার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়ে গেলে তিনি লাপাত্তা হয়ে যান, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, মোবাইল নাম্বারে তার কোনো খোঁজ মিলছে না ২০ অক্টোবর থেকে। তাকে প্রকাশনী এবং লেখকরা সহ মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে ও তিনি ফোন রিসিভ করে না, কখনো কখনো ফোন কেটে দেয় আবার ফোন বন্ধ করে রাখে। বেশ কিছু দিন ধরে এভাবে ধারাবাহিক ভাবে ফোন দিলেও তিনি আমাদের কোনো সাড়া দিচ্ছে না। প্রকাশনীর সাথে কোন যোগাযোগ করছে না।
প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী তিনি নিজেকে একজন কবি ও সাহিত্যিক, সম্পাদক ও প্রকাশক বলে নবীন লেখকদের ব্রেন ওয়াশ করে কবিতা জমা ও টাকা জমা নিয়েছেন। প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী ফেসবুকে একাধিক প্লাটফর্ম খুলে প্রতারণা করছে সাহিত্যিক নবীন ও প্রবীন লেখকদের সঙ্গে। কখনো তিনি সাহিত্য গ্রুপ ও পেজ খুলছে আবার কখনো বা প্রকাশনী খুলছে। বিগত কয়েক দিন আগে নাফিজা প্রকাশনী নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেন প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী। যা সেই অ্যাকাউন্টের ইনফো / বায়ো থেকে চিহ্নিত করা হয়।
প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী এক বছর পূর্বে অনন্যা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশের নামে প্রকাশকের সঙ্গে মত বহিভূত কারণে কিছু লেখকদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে চলে যান একাধিক প্রকাশনীর প্রতারণার দারপ্রান্তে। এক পর্যায়ে ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী থেকে প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী “সেই তুমি নেই আজ” যৌথ এই কাব্যগ্রন্থটি ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করে নবীন লেখকদের আস্থার সম্পাদক হয়ে উঠেন। “সেই তুমি নেই আজ” বইটির সুবাদে নবীন লেখকদের প্রিন্টকৃত কলম, প্রিন্টকৃত ক্রেস্ট এর প্রলোবন দেখিয়ে কবিতা জমা নিয়েছে মোট ৩টি বই এর সাথে যৌথ বই প্রকাশের জন্য টাকাও নিয়েছে। আনুমানি নবীন ও প্রবীন ভুক্তভোগী ও সাধারণ হিসাবের মাধ্যমে প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী ৩টি বই এর প্রায় ৩০ থেকে ৪০+ হাজার টাকা লুটিয়ে নিয়েছেন সাধারণ লেখকদের নিকট থেকে।
১৫ দিন থেকে প্রকাশনী প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জিং, হোয়াটসঅ্যাপে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী এর গ্রামের বাসা কুমিল্লাতে। কুমিল্লাতে খোজ নিয়ে দেখা যায় গ্রামের বাসায় তিনি থাকেন না। তিনি ঢাকাতে থাকেন।
প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতীর লেখক পরিচিতি হল- মোঃ নাসির উদ্দিন চিশতী, পিতাঃ মৃত এ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন, মাতাঃ মোসাঃ নাজমা বেগম। ১৯৮২ সালে ৪ই মে কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কুমিল্লা বি.এম কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন। লেখালেখিতে তিনি একজন অনিয়মিত হলেও তার লেখা অণুগল্প ও ছোট গল্পগুলো খুবই চমকপ্রদ ও ব্যতিক্রমধর্মী। বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে তিনি শখের বশে ছোটগল্প ও কবিতা লিখে থাকেন। তবে তার কবিতার জগতে বিচরণই বেশি। তাঁর লেখা কবিতায় প্রেম ও বিরহ দু-টোতেই খুব নান্দনিকতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। আমার একক বই ৫টি যথাঃ- বায়েজিদ বোস্তামী (রহঃ) জীবনী, দরূদের ফজিলত, শিশুদের ইসলামিক নাম ও অর্থ, রক্তাক্ত শহীদে কারবালা, মজার হাসির জোকস। যৌথ কাব্যগ্রন্থ ৪ টি যথাঃ- সেই তুমি নেই আজ, প্রেম কাব্য, বেদনাহত, চব্বিশের গণবিস্ফোরণ। পেশায় আমি একজন কর্মজীবী। আমি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতী ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী’তে বুক কাভার প্রচ্ছদ বানিয়ে বই প্রকাশের জন্য ৫০০/- পাচ শত টাকা অ্যাডভান্স প্রদান করে চব্বিশের কবিতা, ইচ্ছাপূরণ ম্যাগাজিন ও অপূর্ণ ভালোবাসা বইয়ের জন্য কবিতা সংগ্রহ ও নবীন প্রবীন লেখকদের নিকট থেকে টাকা সংগ্রহ করে এখন উধাও। স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুক, হোয়াটসঅঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জিং এ পাওয়া না গেলেও প্রতারক মোঃ নাসির উদ্দীন চিশতীকে টিকটকে পাওয়া যাচ্ছে বলে এক ভুক্তভোগী নবীন লেখক প্রকাশনীকে জানিয়েছে।
পরবর্তীতে ভূক্রভোগি লেখকদের সঙ্গে দুই পর্যায়ে প্রকাশনী অনলাইন মিটিং এর আয়োজন করে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়—
১/ প্রতারক চিশতির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী লেখকগণরা প্রতিবেদন প্রণয়ন করে অনলাইন পোর্টাল ও জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রণয়ন ও বেশি বেশি অনলাইনে প্রচার।
২/ ভুক্তভোগী লেখকগণদের জায়গা থেকে প্রতি জেলায় জিডি করা ও প্রকাশনীর জায়গা থেকে ঢাকা, গাজীপুর, বগুড়া ও নাটোরে জিডি করা।
৩/ নতুন করে বই প্রকাশের জন্য কমিটি প্রণয়ন ও নতুন দুইটি বই এর সম্পাদক নির্ণয়। নতুন বই এর কাজ দ্রুত সম্পাপ্তির নির্দেশ।
৪/ যে সকল সাহিত্য অনুষ্ঠানে সাহিত্য প্রতারক চিশতি আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে আমন্ত্রন গ্রহণ করেছে সেই সকল প্লাটফর্মদের উদ্ধর্তনদের সঙ্গে কথা বলে চিশতির সম্পর্কে জিডির মাধ্যমে আইনি সানধ্য করা।
৫/ ভুক্তভোগী লেখক ও ইচ্ছাশক্তির সকল প্লাটফর্মসহ সাহিত্যতের ১০টির অধিক সাহিত্য প্লাটফর্ম থেকে প্রতারক অবাঞ্চিত ঘোষণা।