1. admin@ichchashakti.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

সুবিধাবাদী সম্পাদকদের নিকট থেকে সাবধান

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১১৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ

৫ আগস্ট ২০২৪ইং, এক নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের পূর্ব পাকিস্থানের নিকট থেকে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পরে স্বাধীনতা অর্জন করে। একই সাথে ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশেষে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মতো ৫ আগস্ট ২০২৪ইং স্বাধীনতা অর্জন করে, পালিয়ে যায় আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান।

 

“ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী” প্রকাশনা জগতের এক বিশ্বস্ততার নাম। যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২২ সালে ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার নামে, পরবর্তীতে ২০২৩ সালে “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী” প্রতিষ্ঠানের আত্নপ্রকাশ ঘটে। কবি, সাহিত্যিক ও সম্পাদকদের আস্থার নাম “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী”।

আর্থিক শর্তহীন কবিতা সংগ্রহের টেকনিক

গত ১৭ আগস্ট ২০২৪ ইং মুহাম্মাদুল্লাহ বিন মোস্তফা (সুনামগঞ্জ) নামে এক সম্পাদকের সঙ্গে “অগ্নিপথের বিজয়ী যোদ্ধা” নামে যৌথ বই প্রকাশনা সম্পর্কে কথা হয় রাত ১০টার পরে। বইটিতে কবিতা থাকবে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদমূলক। বই প্রকাশের হিসাব চাওয়া হলে প্রকাশনী থেকে ক্যাটাগরি ভিত্তিক ও মানসম্মত বই (৪ ফর্মার ১৫০ কপি) উক্ত বইটির সম্পাদককে হিসাব দেয়া হয়। “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী” থেকে বই প্রকাশে সম্মতি প্রকাশ করে। সেই রাতেই ৫০০ টাকা অ্যাডভান্স প্রদান করা হলে “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী” থেকে “অগ্নিপথের বিজয়ী যোদ্ধা” নামে একটি বই এর কাভার প্রচ্ছদ ডিজাইন করে প্রদান করা হয়।  ডিজাইনটি সম্পাদক “মুহাম্মাদুল্লাহ বিন মোস্তফা’র” পছন্দ হয়। “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী’কে” উক্ত বইটির সম্পাদক মহোদয় বলেন যে, বইটির নামে কবিতা আহ্বানের একটি ব্যানার বানানোর কথা। রাত তখন ১.৩০ মিনিট। সেই মুহুর্তে কিছু সময় ব্যয় করে বইটির নামে কবিতা আহ্বানের ব্যানার বানিয়ে দেয়া হয়।

 

“অগ্নিপথের বিজয়ী যোদ্ধা” বইটি “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী” লোগো ব্যবহার করে আর্থিক শর্তহীন কবিতা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সম্পাদক মহোদয়। সম্পাদক বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর সাথে জড়িত, যেমন- সাহিত্য আন্দোলন প্রকাশনী, কলমকার ম্যাগাজিন ও একাধিক ফেসবুক গ্রুপ।। দীর্ঘ ১ মাস আর্থিক শর্তহীন “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী’র” লোগো ব্যবহার করে কবিতা আহ্বান শেষ হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং প্রকাশনী’তে উক্ত বইটির কবিতা, কবি পরিচিতি ও কবিদের ছবি জমা দেয়া হয়। দুই দিন সময় নিয়ে প্রকাশনী উক্ত বইটির পিডিএফ কমপ্লিট করে। বইটিতে প্রত্যেক লেখকের একটি করে কবিতা নেয়া হয়েছিল। সর্বমোট ৫৪ জন লেখকের কবিতা স্থান দেয়া হয়েছিল। পিডিএফ কম্পিলিট হলে সম্পাদককে জানানো হয় বইটির নামে আইএসবিএন (ISBN) সংগ্রহের জন্য তথ্য দিন, আবেদন করা হবে। প্রকাশনী’কে বার বার সম্পাদক বলে আইএসবিএন (ISBN) পরে নেবো।  প্রকাশনী’কে বলা হয় প্রি-অর্ডারের জন্য ব্যানার বানিয়ে দিতে, প্রকাশনী’র পক্ষ থেকে প্রি-অর্ডারের ব্যানার বানিয়ে দেয়া হয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আর্থিক শর্তহীন বলে সরল মনের সাবলীল লেখকদের নিকট থেকে কবিতা সংগ্রহের পরে বই প্রকাশের আগেই প্রি-অর্ডার কেনো ???????

উক্ত বইটির পিডিএফ এর খন্ডিত স্কিন শর্ট

যখন প্রকাশনী’কে বলে আইএসবিএন (ISBN) এর আবেদন পরে করবো এবং প্রি-অর্ডার এর কথা সেই মুহুর্ত থেকে সন্দেহ সৃষ্টি হয় বইটির সম্পাদক (মুহামুদুল্লাহ বিন মোস্তফা’র) উপরে। এরপরে ৩ দিন অতিবাহিত হবার পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং প্রকাশনী থেকে সম্পাদকের নিকটে যোগাযোগ করা হলে সম্পাদক প্রকাশনী’কে জানায় বই প্রকাশ হতে দেরি হবে, কেবল ৫ – ৭ জন প্রি-অর্ডার পূর্ণ করেছে। আবার একটু পরে জানায়- বই প্রকাশ করবো আমাদের প্রকাশনী “সাহিত্য আন্দোলন প্রকাশনী” থেকে।। প্রকাশনী সেই মুহুর্তে নিজে তর্কে না জড়িয়ে বলে দেয় “ওকে প্রকাশ করুন তবে আপনাকে বিশ্বাস করেছিলাম, সারা জীবন মরে রাখবো আপনার মতো সাদা মনের প্রতারক ও মিথ্যা এবং ধান্দাবাদী সাহিত্যিক নামক সম্পাদক’কে।“

 

“অগ্নিপথের বিজয়ী যোদ্ধা” বইটি বিষয়ে বইটিতে অংশগ্রহণকৃত লেখকদের ও সাধারণ লেখকদের শতর্কতার জন্য “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী’র” ভেরিফাই ফেসবুক পেজে ও ফেসবুক গ্রুপে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়।।

আর্থিক শর্তহীন ১টি ৩০০, ২টি বই ৫০০ টাকা কেনো??

২০২৪ সাল। সময়টা এখন সামনের দিকে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাবার। সেই সাথে সাহিত্যে বর্তমান এই সময়ে লেখকের চেয়ে সম্পাদক হয়েছে বেশি আবার সম্পাদকের চেয়ে প্রকাশনী হয়েছে বেশি। এর ফলে সকল সম্মানিত গুণীজন- কবি/লেখক।/সাহিত্যিকদের “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী’র” পক্ষ থেকে বলতে চাই সময়টা সামনের দিকে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাবার হলেও আপনারা ধান্ধাবাজ, চালবাজ কিছু কবিতা চোর, সম্পাদক, প্রকাশনী থেকে সাবধান- সাবধান।

 

পরিশেষে সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- “মুহামুদ্যল্লাহ বিন মোস্তফা’র” মতো সম্পদক হতে সাবধান। বিশ্বাস অর্জনের জন্য সেই লেখক, কবি, সাহিত্যিক, সম্পাদক ও প্রকাশকদের সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে জেনে নেবেন। বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রকাশকদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। ডিটেইলস জেনে শুনে ও বিবেককে প্রশ্ন করে সাহিত্যের একাধিক দিতে আর্থিক লেনদেন করবেন।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park