1. admin@ichchashakti.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন

হে মা! সন্তানকে বদদোয়া দিবেন না

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৭ বার পঠিত
হে মা! সন্তানকে বদদোয়া দিবেন না
.
আমাদের সমাজে অসংখ্য মায়েরা তাদের সন্তানেরকে বদদোয়া দিয়ে থাকেন। ছোট্ট সন্তানরা একটু বেশি দুষ্টমি করে ফেললে তখন মায়েরা তা সহ্য করতে না পেরে হেন হোক, তেন হোক, আল্লাহ তোকে উঠিয়ে নিক ইত্যাদি নানান বাক্য বলে তাদেরকে অভিশাপ ও বদদোয়া দেয়।
হয়তো তারা মন থেকে এসব বদদোয়া দেয়না! কিন্তু এসব মায়েরা জানেনা যে, এসব বদদোয়া-র কারনে তাদের আদরের টুকরা সন্তানের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। কেননা সন্তানের প্রতি মায়ের দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন, হোক সেটা বদদোয়া বা কল্যাণের দোয়া।
হাদিসে এসেছে,
“বনী ইসরাঈলের একজন নেককার ব্যক্তি ছিলো। যার নাম ছিলো জুরাইজ। সে বেশিরভাগ সময় আল্লাহর ইবাদত বন্দেগিতে রত থাকত। একদা সে সালাত আদায় করছিলো, এমন অবস্থায় তার মা তাকে ডাকল। সে মনে মনে ভাবল,আমি কি আমার সালাতে রত থাকব নাকি মায়ের ডাকে সাড়া দিব।
অতঃপর ডাকে সাড়া না পেয়ে তার মা তাকে বদদোয়া দিলো, ‘হে আল্লাহ! ব্যভিচারিণীর মুখ না দেখা পর্যন্ত তুমি তাকে মৃ্ত্যু দিও না।’
মায়ের দোয়া তাংক্ষনাৎ কবুল হয়ে যায়। তার কয়েকদিন পর জুরাইজ তার ইবাদত খানায় ছিলো, এমন সময় তার কাছে একজন ব্যাভিচারিণী মহিলা এসে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়।
সে প্রস্তাব অস্বীকার করে। অতঃপর মহিলাটি একজন রাখালের সাথে ব্যাভিচার করে গর্ভধারন করে সেই সন্তান জুরাইজের বলে সমাজে রটিয়ে দেয়। তা শুনে লোকজন জুরাইজের ইবাদত খানা ভেঙ্গে দেয় এবং তাকে অপমান ও অপদস্থ করে।”
[সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৩৪৩৬]
খেয়াল করুন, মায়ের বদদোয়া আল্লাহ কবুল করেছেন। জুরাইজ সত্যিই ব্যাভিচারিণী মহিলার সাথে সাক্ষাৎ করেছে, তার সাথে কুকর্ম না করেও কুকর্মের অপবাদ পেয়েছে, সমাজে লাঞ্চিত ও অপমানিত হয়েছে।
অবশ্য পরবর্তীতে অলৌকিকভাবে আল্লাহ তা’আলা সত্যটা প্রকাশ করে দেন এবং জুরাইজকে সম্মানিত করেন।
.
যামাখশারী (রাহি:) বলেন,
“আমি যখন ছোট ছিলাম তখন একটা চড়ুই পাখি নিয়ে খেলছিলাম। এ সময় সুতা দিয়ে তার একটা পা কেটে ফেললাম।
আমার মা রেগে বললেন, “আল্লাহ তোর পা কেটে দিক!”
বড় হওয়ার পর আমার পা একবার বরফের কারণে জমে যায়; যার ফলে আমাকে পা কেটে ফেলে দিতে হয়।”
[তারীখুল ইসলাম: ১১/৭৯৭]
.
❏ সন্তান দুষ্টমি করলে তাদের জন্য বদদোয়া নয় কল্যাণের দোয়া করুন:
আপনারা নিশ্চয় শাইখ কালবানি হাফিজাহুল্লার নাম শুনেছেন। যিনি বর্তমানে মসজিদুল হারামের(কাবার) সম্মানিত ইমাম।
তিনি লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি কনফারেন্সে বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, ‘আমি ছোটকালে অনেক দুষ্ট ছিলাম। আমি যখনই দুষ্টমি করতাম তখনই আমার মা বারবার একটি দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ তুমি ওকে (কালবানিকে) কাবার ইমাম বানিয়ে দিও।’
আল্লাহ আমার মায়ের দোয়া কবুল করেছেন, আজকে সত্যিই আমি কাবার ইমাম হতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।
হে মায়েরা! আপনারা শাইখ কালবানি হাফিজাহুল্লার মায়ের থেকে শিক্ষাগ্রহন করুন। ছোট্ট সন্তানরা দুষ্টমি করলে বদদোয়া নয় তাদের জন্য কল্যাণের দোয়া করুন। আল্লাহ আপনাদের সঠিক বুঝ দান করুন, আপনাদের সন্তানদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার তাওফ্বীক দান করুন,,[আ-মীন]।
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park