————–উৎসর্গ————–
আমার প্রিয় বাবা ও মা’কে আমার সকল সফলতার পিছনে যাদের নীরব দোয়া আর প্রেরণা জড়িয়ে আছে, তাদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
প্রকাশিত বইটি সম্পর্কে লেখকের নিজস্ব অনুভূতি :-
আমি মধ্যবিত্ত বইটি আমার জীবনের এক দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের ফলাফল। ছোটবেলা থেকেই আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মধ্যবিত্ত শব্দটির প্রতি আলাদা অনুভূতি এবং তাদের গভীর সংযোগের প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম। এই কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের মাধ্যমে আমি সেই সংযোগকে সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো আমার হৃদয়ে গভীর অনুভূতির প্রতিফলন। এই গ্রন্থে কবিতাগুলোতে আমার উপলব্ধি দিয়ে দেখা জীবনের আনন্দ, দুঃখ -বেদনা, প্রেম, বাস্তবতার অনুভূতি। এই গ্রন্থটি প্রকাশ করতে পারা আমার এক অমূল্য প্রাপ্তি। যখন আমি কলম চালাই, তখন আমি লেখনীর মাধ্যমে বেঁচে থাকি, প্রতিটি শব্দের মাঝে নিজেকে হারিরে ফেলি, সেই যাত্রায় আমি পাঠকদের আমন্ত্রণ জানাই। আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি এই গ্রন্থের প্রায় প্রতিটি কবিতা পাঠকদের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলবে, ঠিক যেমন তারা আমার জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে।
পাঠকদের জন্য বার্তা:-
এই গ্রন্হটি বিশেষভাবে তাদের জন্য যারা জীবনের সূক্ষ্ণ অনুভূতি গুলো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে ভালোবাসেন। সংগ্রামী জীবনের কঠিন বাস্তবতা, দেশপ্রেম, অপেক্ষা, প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্য -এই অনুভূতিগুলো আমাদের সবার জীবনের সঙ্গে মিশে আছে, সেগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই গ্রন্থের কবিতা। আমি চাই আমার কবিতাগুলো পাঠকদের হৃদয়ে একটি গভীর সংযোগ সৃষ্টি করুক, যেন প্রতিটি পাঠক নিজেকে কবিতার মধ্যে খুঁজে পান। এই গ্রন্থের মাধ্যমে আমি পাঠকদের হৃদয়ে এক গভীর ছাপ ফেলতে চাই, যেখানে তারা খুঁজে পাবে বাস্তবতার এক নতুন অধ্যায়, যেখানে বাস্তবতা ও পরিস্থিতি মিলেমিশে সৃষ্টি করবে নতুন এক দিগন্ত, আমার বিশ্বাস এই গ্রন্থের প্রতিটি শব্দ পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে এবং তাদেরকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে, যে জীবনে বাস্তবতা কতটা প্রয়োজন হতে পারে, যদি আমরা বাস্তবতার প্রতিটি টুকরোকে গভীরভাবে অনুভব করতে শিখি।
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা:-
মোঃ সামাউন আলী (সুমন) প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলা থেকে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মের একজন কবি। জীবন সংগ্রামে নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে তার লেখনী অব্যাহত রেখেছেন।
লেখনীর প্রতি তার প্রবল ইচ্ছা এবং সাধনা তার লেখার মানকে প্রতিনিয়ত উন্নত করছে। আমার একজন প্রিয় ছাত্র হিসেবে আমি মোঃ সামাউন আলী (সুমন) এর মাঝে কাব্যিক প্রতিভার বিশেষ গুণাবলি অনেক আগে থেকেই লক্ষ্য করেছি। তার লেখা কবিতা পড়লে মনে হবে সে জীবনের উপলব্ধি থেকে প্রতিটি শব্দ চয়ন করেছে। তার লেখা প্রতিটি চরণ যেন হৃদয় থেকে উত্থিত। তার লেখনীর মাঝে সমাজের বাস্তবচিত্র এবং প্রকৃতির প্রতি অকৃত্রিম উদারতা নিপুণ ভাবে ফুটে উঠেছে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে “বাস্তবতার কবি” বলে সম্বোধন করি। তিনি একজন মানবিক মানুষও বটে, লেখা-লেখির পাশাপাশি সে মানব সেবায় বেশ অগ্রনী। তার মতো প্রতিভাবান মানুষের রচিত একক কাব্যগ্রন্থ “আমি মধ্যবিত্ত” বইটি বের হচ্ছে জেনে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি তার দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
মোহাম্মদ ফখরুল হাসান
সহকারী অধ্যাপক,
হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা:-
মোঃ সামাউন আলী (সুমন) তৃনমুল থেকে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মের একজন লেখক। পারিবারিক অভাব অনাটনের কারণে তিনি সাহিত্য অঙ্গনে তেমন ভাবে এগোতে পারেন নি। তবুও বিভিন্ন প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তার লেখনী অব্যাহত রেখেছেন। লেখনীর প্রতি তার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তার লেখার মানকে উন্নত করেছে।
ইতিমধ্যে মোঃ সামাউন আলী সুমন একজন পেশাদার লেখক। তার লেখা কবিতা, গল্প পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। তার লেখা প্রতিটি চরণ হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তার লেখনীর মাঝে আমি খুঁজে পেয়েছি সমাজের বাস্তবতা এবং প্রকৃতির প্রতি অকৃত্রিম উদারতা ও ভালোবাসা।
তিনি একজন মানবিক মানুষ, লেখার পাশাপাশি তার মানব সেবা শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে উজ্বল দৃষ্টান্ত। প্রতিভাবান তরুন, মেধাবী লেখকের রচিত একক কাব্যগ্রন্থ “আমি মধ্যবিত্ত” বইটি বের হচ্ছে জেনে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি তার দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
এসএম রাজু আহমেদ
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
অনির্বাণ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ ও পাঠাগার,
সিংড়া, নাটোর।
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা:-
সাহিত্য হলো লেখালেখির মাঝে নিজের ভেতরটাকে বের করে এনে দেখা। যদি একটা নদী, একটা ফসলের মাঠ আর সবুজে ঢাকা ছোট ছোট ঘড়বাড়ি সমেত একটি গ্রাম থাকে, তবে এসব রসদ নিয়ে সে কাব্য-জগতে সগৌরবের পদচারণা করতেই পারে।
কবি সামাউন আলী (সুমন) তারই প্রতিফলন ঘটাতে চেয়েছে এই কাব্যগ্রন্থে। নিম্ন মধ্যবিত্তের সরলতা, মধ্যবিত্তের সীমাবদ্ধতা সবই যেন তার ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখা। কবির জন্য রইলো দোয়া ও শুভকামনা। এগিয়ে যাক বহুদূর।
জাকারিয়া মাসুদ
কথাশিল্পী
সিংড়া, নাটোর।