আলজিভ চুমো খাবো
– আবার?
সাধ কি আর মিটে! এক আকাশে তো চাঁদ-তারা কত কিছুই থাকে! তুমি তো আকাশেরই মত।
– এতো গভীর কথা আমার ঘটে ঢুকে না।
যেটুকু ঢুকে তাই-বা কম কিসে? ও টুকুই ধরে রাখো।
– হোপ। বেশরম। একটুও লজ্জা নেই।
আরে! এখানে লজ্জা পাওয়ার কি হলো? তাছাড়া
তুমিই তো আমার লজ্জা। আমার বেখেয়ালিপনা।
– অতশত বুঝি না।
কি বুঝ? আদর? এই তো আমি। তোমার আদর হরিৎ। একটু ছুঁয়ে দাও। একটু নেড়ে দাও। তারপর দেখো এই বুড়ো শালিক কেমন খলবলিয়ে নেচে উঠে।
– সে জন্যেই কি আমার মৃত্যুর কারণ হতে যাচ্ছিলে?
অমন বলতে নেই অরু। তুমি না থাকলে আমি কার অভিমানের বুদবুদ হবো? কার কাছে বলবো, এই দেখো, আমার চুল পেঁকেছে। কাকে বলবো, আমার চুলে আঙুলের খেলা খেলে দাও তো!
– তো! মনে থাকে কি? যখন আমি যন্ত্রণার কারাগারে একাকীত্বের বীজ বুনি। সময়ের চাকা বেয়ে বেয়ে অপেক্ষার ঘর পোড়াই, মেঘের দুঃখে নিজেকে মিশাই। আর…
অমন করে বলো না। তুমি না বুঝলে এ জং পরা দেহ আমি কার আগুনে পোড়াবো? কার আগুনে জল গড়াবে চোখে, নাকে, মুখে…
– থাক। আর বলতে হবে না। এখনি বৃষ্টি এসে শরীর ছুঁয়ে দেবে। নয়তো…
নয়তো কি?
– নয়তো একটি টি-শার্ট রং বদলাবে অন্তর্বাসের পাশে! ঝড় হবে বৈশাখের! হা হা হা…
বাহ! দারুণ বললে তো! চাও না কি?
– ধ্যাত্। আবার ফাজলামো হচ্ছে কিন্তু!
এই যে বললে! বৈশাখী ঝড়, রং বদল, টি-শার্ট, আরো কি যেনো…
– তোমার মাথা, ড্যাস ড্যাস। এই ট্রপিকটা পাল্টাও তো…
তোমার মাঝেই তো আমি বিলীন। তোমার মাঝেই তো আমার প্রেমের উর্বর ভূমি, শস্য__সব…। কি করে নিজেকে পাল্টাই, বলো?
– কিছুই বদলাতে হবে না। থাকো তুমি। এই আমি চললাম…
কোথায় যাবে তুমি? আমার আঙিণা পেরিয়ে যেতে চাও বুঝি?
– জানি না…
আবার অভিমান?
– না।
তাহলে?
– বলবো না, বলবো না, বলবো না…