রক্তে কেনা স্বাধীনতা আমার লক্ষ শহীদের দান
প্রেরণা দিতে গিয়ে অনেক মা বোনেরা হয়েছে অপমাণ।
কত মা-বোন জিবন দিয়েছে,পেয়েছেন অনেক লাঞ্চনা
৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত তোমাদের চোখে কি পরেনা?
৯ মাস যুদ্ধ করতে হয়েছে দেশের ক্ষতি
তবুও পায়নি হানাদারেরা বাঙ্গালীদের প্রীতি
অত্যাচার করেছে সহ্য দীর্ঘ ২৪ সাল
করতে পারিনি তখন কিছু কারণটা বোধহয় একতা ছিলো দুর্বল।
রাজাকারেরাও কম ছিলোনা তারাও করেছে জুলুম
ওদের জুলুমে সাধারণ মানুষ হয়েছিলো মাজলুম
২৫ শে মার্চ কালো রাতে মরেছে অনেক জন
বঙ্গবন্ধু শেষ রাত্রিতে ডেকেছে জাগরণ।।
সেই ডাকেতে সারা দিয়ে বীর সাহসী বাঙ্গালী
লিপ্ত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, কৃষক, শ্রমিক, বাওয়ালি
ছাত্র জনতা, সামরিক বাহিনী সবাই ছিলো একসাথে,
কঠোর হয়ে এই বীর বাঙ্গালী অস্ত্র নিয়েছে কাঁধে।।
মায়ের দামাল ছেলেটাও আজ যুদ্ধে দিয়েছে জীবন
সব কষ্ট ভুলে তবুও দিয়েছিলো মা ভাষন
ওরে হানাদার পারবিনা তুই আমার দেশে থাকতে
আমার ছেলেরা তাড়াবে তোদের পারবিনা আর আসতে
মায়ের এসব কান্না ঝড়া কঠোর বাণী শুনে
সাহস, শক্তি সঞ্চার করে ছোটে রণক্ষেত্রের পানে।
দীর্ঘ ৯মাস যুদ্ধের পর, পেয়ে যাই স্বাধীনতা
রক্তে ভেজা দেশের এ মাটি মনে করাবে সে কথা
ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
লিপ্ত ছিলো হানাদার বাহিনি নিজেদের আত্মসমর্পনে
দেশ হয়ে গেলো স্বাধীন বাংলা সকলের প্রতিবাদে
অদম্য সেই বীরদেরকে দেখতে ইচ্ছা জাগে।।
বাংলা এখন সোনার বাংলা লাখ শহিদের দান
সেই কথা আজ ভুলে গিয়ে করি তাদের অপমান
এই মাটিতে হবেনা যে ঠাই যারা করেছে দুর্নীতি
করবেনা মাফ লাখ শহিদ আর দেশের খাটি এই মাটি।
বিজয় দিবসে বাজে মাইকে ইংলিস হিন্দি গান
কোথায় গেলো বীর বাঙ্গালীর সেই আত্মসম্মান
গানের তালে নাচও চলে আরো চলে বেহায়াপনা
এই সব দেখে যুব সমাজ হয়ে যায় আনমনা।
ভুলে যায় সেই বাঙ্গালিদের শিক্ষা সংস্কৃতী
আজ কেনো চলেনা বিজয় দিবসে দেশত্ব বোধক গীতি
এই প্রজন্মে দাবি আমার ফিরে দেখো সেই দিন
মনে পরে যাবে মায়ের অপমান, শহিদদের সেই ঋণ
বিজয় দিবস উৎযাপনে বাজাও নজরুল গীতি
রবীঠাকুরের গীতি কবিতায় বাচাও সংস্কৃতি।।